Sunday, March 7, 2010

kabba

কাবা১

পবিত্র কোরআনের বৈজ্ঞানিক অলৌকিকতা

পবিত্র কোরআনের বৈজ্ঞানিক অলৌকিকতা

১৪শ বছর আগে, আল্লাহ্ তালা এই পবিত্র কুরআন প্রেরণ করেছেন মানবজাতীকে দিক নির্দেশনা দেয়া এবং তা অনুসরনের জন্য। তিনিই মানুষকে এই পবিত্র বই অনুসরনের মাধ্যমে সত্যের পথে পরিচালিত করতে চেয়েছেন। কুরআন নাযিলের প্রথম দিন থেকে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত মানবজাতীকে সত্যের পথে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্যেই এই ঐশি গ্রন্থ পৃথিবীতে থেকে যাবে।

কোরআনের বিশেষ প্রজ্ঞাময়তা এবং এর বিশেষ ধরনের ভাষাশালী ও বর্ণনার কৌশলই সার্বিক ভাবে প্রমান করে যে, কুরআন একমাত্র আল্লাহর বাণী। এছাড়া কোরআনের অনেক বিস্ময়কর বৈশিষ্টও প্রমাণ করে যে কুরআন আল্লাহ কর্তৃক নাযিল করা হয়েছে। এ সকল অসংখ্য বিস্ময়কর বৈশিষ্টের মধ্যে কিছু সংখ্যক বৈজ্ঞানিক সত্য বিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তিগত উকর্ষের ফলে মানুষ মাত্ কিছু দিন পূর্বে উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে অথচ সে সত্য গুলো ১৪শ বছর আগে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে ।

অবশ্য কোরআন কোন বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ নয়। কিন্তু এতদসত্বেও অনেক বৈজ্ঞানিক সত্যও এ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য কোরআনের অনেক আয়াতের মধ্যে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাবে এবং গভীর জ্ঞান পূর্ণ ধারাবাহিকতায় এমন ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যা বিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির উকর্ষের ফলেই শুধুমাত্র জানা বা উদঘাটন কর সম্ভব হয়েছে। অথচ কোরআন নাযিলের সময় এই সত্য উদঘাটন করা কখনই সম্ভবপর ছিল না । যা প্রমাণ করে যে, কোরআন আল্লাহর বাণী।

কোরআনের বৈজ্ঞানিক বিস্ময় বুঝতে হলে প্রথমেই আমাদের মনে রাখতে হবে যে সময় কোরআন নাযিল হয়েছিল, তখনকার বিজ্ঞান ছিল একেবারে অনগ্রসর।

সতের শতকের দিকে যখন কোরআন নাযিল হয় তখন আরব সমাজ বিজ্ঞান বলতে যা বুঝায় তা বুঝতে সক্ষম ছিল না । তাদের মাঝে ছিল বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার এবং ভিত্তিহীন বিশ্বাস । প্রযুক্তির অনগ্রসরতার জন্য সে সময়ে মহাবিশ্ব এবং প্রকৃতি সম্পর্কে তখনকার মানুষের খুব কমই জ্ঞান ছিল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আরবের প্রাথমিক যুগে তারা তাদের অতীত বংশ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন লোক-কাহিনীতে বিশ্বাসী ছিল। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় তারা বিশ্বাস করত যে পাহাড় আকাশকে উপরে ধরে রেখেছে। তারা আরও বিশ্বাস করত, পৃথিবীর আকৃতি সমতল এবং এর উভয় প্রান্তে উচু পর্বত যা খুঁটি হিসাবে কাজ করছে ও এই সমস্ত খুঁটি বেহেশতকে উপরে ধরে রেখেছে।

কিন্তু পবিত্র কোরআন নাযিল হওয়ার পরে ঐ সমস্ত কুসংস্কার বা লোক-কাহিনীর প্রতি বিশ্বাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। সুরা রাদ এর ২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ‘‘তিনিই আল্লাহ, যিনি উর্দ্ধে স্থাপন করেছেন আসমান সমূহকে কোন স্তম্ভ ছাড়াই, তোমরা তা দেখছো । তিনিই আসমানকে কোন ধরনের সাহায্য ছাড়াই উপরে ধরে রেখেছেন’’। পাহাড় আসমানকে ধরে রেখেছে এই বিশ্বাসকে উপরোল্লিখিত আয়াতের মাধ্যমে খন্ডন করা হয়েছে। এভাবে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের সত্যতা স¤পর্কে কোরআনের মাধ্যমে সে সময় মানুষকে অবগত করা হয়েছে যা সে সময়ে মানুষের পক্ষে জানা ছিল অসম্ভব এবং অকল্পনীয়। কুরআন যে সময় নাযিল হয়েছিল তখন মানুষের পক্ষে মহাকাশ বিজ্ঞান/জ্যোতিষবিদ্যা, পদার্থ অথবা প্রাণী বিদ্যা/জীব বিদ্যা যা মহাবিশ্বের সৃষ্টি, মানুষের সৃষ্টি, পরিবেশের আকার আকৃতি এবং পৃথিবীতে মানুষের জীবন ধারনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ইত্যাদি জঢিল বিষয় সম্পর্কে তখনকার মানুষের খুব কমই জ্ঞান ছিল বা এ সম্পর্কে খুব কমই জ্ঞান রাখত। এখন দেখা যাক এই সমস্ত বৈজ্ঞানিক বিস্ময় সম্পর্কে সেই সময়ে নাযিলকৃত কোরআনে কি বলা হয়েছে।

মহাবিশ্বের সৃষ্টি বা শুরু

মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের নিম্নলিখিত আয়াতে বলা হয়েছে ঃ

তিনি আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন শুন্য থেকে। (সূরা আনাম-৬ ঃ ১০১)। সে সময়ে নাযিলকৃত কুরআনে উল্লেখিত এই তথ্য বর্তমান সময়ের বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ন বা সত্যতা প্রমাণ করে। উপসংহারে বলতে হয় আজকের এই মহাবিশ্ব বা সৌরমন্ডলী এবং এর সঙ্গে স¤পর্কযুক্ত বস্তু ও সময় সৃষ্টি হয়েছে কোন এক মহাবিস্ফোরণের ফলে। যা ঘটেছিল মুহুর্তের মধ্যে কোন এক বিন্দুতে। বিশ্ব সৃষ্টির এই ঘটনা ‘‘বিগ ব্যাং’’ বলে পরিচিত। যা প্রমাণ করে যে, মহা এক বিস্ফোরণের ফলে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে শুন্য থেকে। আধুনিক বিজ্ঞান এ বিষয়ে একমত যে, একমাত্র ‘‘বিগ ব্যাং-ই’’ হচ্ছে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির অধিক যুক্তিযুক্ত এবং সম্ভাব্য কারণ।
‘‘
বিগ ব্যাং’’ এর পূর্বে বস্তু বলতে কিছুই ছিলনা। সবকিছুই তখন ছিল শুন্য। ফলে ছিলনা বস্তু, শক্তি এমনকি সময় । এমন কোন উপায় ছিল না যার দ্বারা গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায় যে, কিভাবে বস্তু, শক্তি ও সময়কে সৃষ্টি করা হয়েছে। যে সত্যটি বর্তমানে আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের উকর্ষের ফলে অতি সাম্প্রতিক সময়ে আমরা জানতে পেরেছি। অথচ এই বিষয়টি সম্পর্কে ১৪শ বছর পূর্বে নাযিলকৃত পবিত্র কুরআনে প্রকাশ করা হয়েছে।

মহাবিশ্বের ক্রমাগত বিস্তার

পবিত্র কুরআন যা ১৪শ বছর আগে নাযিল হয়েছিল, তখন জ্যোতি বিদ্যা কোন রকমভাবে ধিকি ধিকি করে জ্বলছিল, ঠিক সে সময়ে মহাবিশ্বের ক্রমাগত বিস্তার সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এভাবে ঃ

আর আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আসমানকে সৃষ্টি করেছি এবং আমিই তার সমভাবে বিস্তার ঘটাচ্ছি। (সুরা যারিয়াত-৫১ ঃ ৪৭)।

উপরে উল্লেখিত আয়াতে ‘‘আসমান’’ শব্দকে কোরআনের বিভিন্ন অংশে উল্লেখ করা হয়েছে সৌরমন্ডল এবং নভোমন্ডলকে বুঝানোর জন্য। এখানেও এই শব্দকে সেই অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কুরআনে এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, সৌরমন্ডল ক্রমাগতভাবে বিস্তার করে চলেছে। অথচ এ বিষয়ে বর্তমান সময়ে বৈজ্ঞানিক উকর্ষের ফলে আমরা সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি বা উপলব্ধি করতে পারছি

বিশ শতকের প্রারম্ভিক পর্যায় পর্যন্ত বিশ্ব সম্পর্কে মানুষের এ ধারনাই বদ্ধমূল ছিল যে, অসীম সময় থেকে এই মহাবিশ্ব এভাবেই স্থির আকারে চলে আসছে। আধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে যে সমস্ত বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ এবং গাণিতিক হিসাব নিকাস করা হয়েছে তাতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে মহাবিশ্বের একটা শুরু ছিল এবং সেই শুরু থেকে আজ অবধি ক্রমাগত ভাবে এই মহাবিশ্ব ক্রমান্বয়ে সমআকারে বিস্তার লাভ করে চলেছে।

বিশ শতকের শুরুর দিকে রাশিয়ান পদার্থবিদ আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যান এবং বেলজিয়ামের সৌর তারকা বিশেষজ্ঞ জর্জলেমিটায়ার তাত্তি¡কভাবে হিসাব করে দেখিয়েছেন যে, মহাবিশ্ব ক্রমাগতভাবে গতিশীল এবং ক্রমান্বয়ে এটা বিস্তার লাভ করে চলেছে।

এই সত্যতা ১৯২৯ সালের পর্যবেক্ষণ পরিসংখ্যানে পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে। আমেরিকার আকাশ বিজ্ঞানী এডুইন হাবেল টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ পর্যবেক্ষণকালে আবিস্কার করেন যে, তারা ও ছায়াপথ সমূহ একে অপর থেকে ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যাচ্ছে । মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু ক্রমাগতভাবে দূরে সরে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে এটাই প্রমান করে যে, মহাবিশ্ব ক্রমাগতভাবে বিস্তার লাভ করছে । পরবর্তী বসরেই এই পর্যবেক্ষনে পুনরায় মহাবিশ্বে ক্রমাগত বিস্তার হওয়ার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায় । অথচ এই সত্যতা কুরআনে প্রকাশ হয়েছে এমন সময়ে যখন এ বিষয়ে মানুষ ছিল সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞ । এর কারণ এটাই যে, কোরআন হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী। যিনি সৃষ্টিকর্তা এবং শাসক সমস্ত মহাবিশ্বের ।

পৃথিবী এবং আসমানের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া

কোরআনে অন্য একটি আয়াতে আসমান সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে ঃ

যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমান ও জমিন ওতপ্রোতভাবে মিশেছিল, তারপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম ; এবং প্রাণবান সবকিছু আমি সৃষ্টি করলাম পানি থেকে । তবুও কি তারা ঈমান আনবে না ? (সূরা আম্বীয়া -২১ ঃ৩০)।

আরবী শব্দ ‘‘রাত্ক’’ এর বাংলা অর্থ মিলিত বা একসাথে জড়িত হওয়া । আরবীতে এই শব্দ ব্যবহার করা হয় দুই ধরনের জিনিস একত্রে মিলে এক হওয়া কোন কিছুকে বোঝানোর জন্য । ‘‘তারপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম’’ এই বাক্যের আরবী ক্রিয়া শব্দ ‘‘ফাতাকা’’ যার বাংলা আভিধানিক অর্থ বুঝাতে যা বুঝায় তা হলো জড়িত কোন কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুনভাবে কোন কিছু তৈরী হওয়াকে। এই ধরণের কাজকে সহজে বোঝার জন্য মাটি থেকে বীজ ফেটে বের হওয়ার উদাহরণ উল্লেখ করা যেতে পারে ।

এই জ্ঞানকে মনে রেখে আমরা উক্ত আয়াতের প্রতি যদি দৃষ্টি সন্নিবেশ করি, তবে বুঝতে পারি যে, প্রাথমিক পর্যায়ে আসমান এবং জমিন ‘‘রাত্ক’’ অথা একত্রিত অবস্থায় ছিল । পরবর্তীতে তা একে অপ থেকে আলাদা হয়ে যায় (ফাতাকা) বা বের হয়ে যায় । কৌতুহল বশতঃ যদি আমরা বিগ ব্যাং এর প্রাথমিক মূহুর্তের কথা মনে করি তবে দেখতে পাই যে, এই মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তু একটা বিন্দুতে সন্নিবেশিত ছিল। অন্য কথায় বলা যায়, সমস্ত কিছু তথা ‘‘ আসমান এবং জমিন’’ যা তখন সৃষ্টি হয় নাই, সমস্ত কিছুই একত্রে মিলিত ছিল আরবী শব্দ ‘‘রাত্ক’’ রূপে । এই বিন্দুরই অতীতকালে কোন এক সময় মহাবিস্ফোরণ ঘটে । ফলে সমস্ত কিছু আলাদা হয়ে যায় এবং মহাবিশ্বের আকৃতি বা অবকাঠামো তৈরী হয় ।

উপরোল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যা আমরা যদি বর্তমানে উদ্ঘাটিত তথ্যের সংগে তুলনা করি তবে দেখতে পাই যে, এই আয়াতের ব্যাখ্যা এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যের ব্যাখ্যা একই অথ্যা একে অপরের সত্যতা প্রমাণ করে । অপর কথা বলা যায় এ সম্পর্কে বর্তমান বৈজ্ঞানিক উদ্ঘাটিত তথ্য সম্পূর্ণভাবে উপরোল্লিখিত আয়াতের সত্যতার স্বীকৃতি দেয় । আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, বৈজ্ঞানিকরা এই সত্যতা আবিস্কৃত হয় বিংশ শতাব্দীতে অথচ কোরআন নাযিল হয়েছিল ১৪শবছর আগে ।

চাঁদ নিয়ে



চাঁদ নিয়ে অনেক গান কবিতা গল্প রচিত হয়েছে। বিশেষ করে বাঙালির অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে চাঁদকে নিয়ে। চাঁদ কখনো ঝলসানো রুটি, কখনো চাঁদ প্রিয়তমার মতো সুন্দর। চাঁদকে স্বাক্ষী রেখে গোপন কথা বলা এক সময় প্রচলিত ছিল। অসম্ভবকে সম্ভব বোঝাতে বলা হতো, তোমার জন্য আকাশের চাঁদ এনে দেবো। আবার নেতিবাচক অর্থে বামন হয়ে আকাশের চাঁদ ধরতে চাওয়ার কথাও বলা হতো। একটা সময় চাঁদের কালো দাগ দেখিয়ে ছোট ছেলেমেয়েদের গল্প বলা হতো, ওই যে চাঁদের বুড়ি চরকা কাটছে! আবার একই জিনিসকে দেখিয়ে বলা হতো চাঁদেরও কলঙ্ক আছে। চাঁদ নিয়ে এসব কথা এখন ছোট ছেলেমেয়েরাও বিশ্বাস করবে না। কেননা প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গিয়েছে। এবং চাঁদে মানুষ গিয়েছে তারও ৪০ বছর হয়ে গেল। চাঁদের বুকে নেমে প্রথম অভিযাত্রী নিল আমস্ট্রং বলেছিলেন, একজন মানুষের জন্য এটি একটি পদক্ষেপ মাত্র। কিন্তু মানব জাতির জন্য বিশাল অগ্রযাত্রা।


১৬ জুলাই ১৯৬৯ সালে নভোযান অ্যাপোলো ১১-এ যাত্রা করে ২০ জুলাই ১৯৬৯-এ চাঁদের বুকে নামেন নিল আমস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিন। মাইকেল কলিন্স ছিলেন মূল নভোযানে। এই তিনজনকে নিয়ে পৃথিবীর মানুষ পরবর্তী সময়ে অনেক উল্লাস করেছে। চন্দ্র বিজয়ের পর তারা যখন পৃথিবী ভ্রমণে বের হন তখন এক পর্যায়ে ১৯৬৯ সালে তারা ঢাকাতেও এসেছিলেন। অসংখ্য মানুষ ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দরে ভীড় করেছিল।


চল্লিশ বছরে চাঁদ অভিযান নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ত্রিশ বছর যেতে না যেতেই কথা উঠেছিল চাঁদে মানুষের অবতরণ ছিল পুরোপুরি বানোয়াট। আমেরিকার একটি দুর্গম স্থানে গিয়ে সেখানে চিত্রধারণ করা হয়েছিল। এর পেছনে অনেক যুক্তিও দেয়া হয়েছে। অবশ্য পরে সে আলোচনা থেমে যায়। মানুষের চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন অনেক আগে থেকেই কাজ করছিল। ১৯৬৯ সালে চাঁদ স্পর্শ করার ১০৪ বছর আগে ১৮৬৫ সালে ফরাশি লেখক জুল ভার্ন চাঁদে অভিযান নিয়ে লিখেছিলেন তার কল্পকাহিনী ফরম দি আর্থ টু দি মুন। সে সময়ে এ ধরণের চিন্তা করা এবং তার সম্ভাব্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা ছিল অসাধারণ ঘটনা। শত বছর পরে হলেও অনেক মজার মিল ছিল কল্পকাহিনী আর বাস্তবতায়। যেমন জুল ভার্নের নভোযানের কমান্ড মডিউলের নাম ছিল কলাম্বিয়াড। অ্যাপোলো ১১-এর কমান্ড মডিউলের নাম কলাম্বিয়া! দুই ক্ষেত্রেই নভোচারীর সংখ্যা ছিল তিন! আবার দুটো যানই উক্ষিপ্ত হয় ফ্লোরিডা থেকে!


কল্পনার সঙ্গে বাস্তবতার কতো মিল। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন মানুষের কল্পনার ওপর। পৃথিবীর মানুষ কল্পনা করছে মহাশূন্যের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করবে। জুল ভার্নের কল্পনা যদি ১০০ বছর পর বাস্তব হতে পারে। তাহলে আইজ্যাক আসিমভের কল্পনা বাস্তব হতে দোষ কোথায় ! সেজন্য হয়তো ১০০ বছরও অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।



I speak of legend


জাতীয় সঙ্গিত >>>>>>>>>>>



My Bengal of gold, I love you
Forever your skies, your air set my heart in tune
as if it were a flute,
In Spring, Oh mother mine, the fragrance from
your mango-groves makes me wild with joy-
Ah, what a thrill!
In autumn, Oh mother mine,
in the full-blossomed paddy fields,
I have seen spread all over - sweet smiles!
Ah, what a beauty, what shades, what an affection
and what a tenderness!
What a quilt have you spread at the feet of
banyan trees and along the banks of rivers!
Oh mother mines, words from your lips are like
Nectar to my ears!
Ah, what a thrill!
If sadness, Oh mother mine, casts a gloom on your face,
my eyes are filled with tears!