এক ভদ্রলোক বন্ধু-বান্ধবসহ এক ডাক্তারকে নিজের বাসায় দাওয়াত দিয়েছিলেন ম্যারেজ ডে উপলক্ষে। কিন্তু ডাক্তার সাহেব দাওয়াত খেতে না যাওয়ায়_
ভদ্রলোক : আপনি গেলেন না যে?
ডাক্তার : ভেবেছিলাম যাব। কিন্তু পরে মত পাল্টালাম।
ভদ্রলোক : কেন?
ডাক্তার : যারা আগে গিয়েছিল, তারা আপনার বাড়ি থেকে সোজা আমার চেম্বারে চলে এসেছিল তো তাই...
এক বন্ধু আরেক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে এসে দেখলেন বন্ধুর স্ত্রী কাঁদছেন।
অতিথি : কী ব্যাপার, তোমার স্ত্রী কাঁদছে মনে হয়?
বন্ধু : হ্যাঁ।
অতিথি : কেন?
বন্ধু : জানতে চাইনি।
অতিথি : কেন?
বন্ধু : আগে যতবার কান্নার কারণ জানতে চেয়েছি, ততবার আমাকে ফতুর হতে হয়েছে!
ছেলেটি খুব বিরক্ত করছিল মেয়েটিকে। একদিন হঠাৎ করেই হাজির হলো মেয়েটির বাড়ি। ছেলেটিকে দেখেই মেয়েটি বলল, এটি ভদ্রলোকের বাড়ি। ইচ্ছে হলেই ঢুকে পড়া যায় না। ছেলেটি সঙ্গে সঙ্গে বলল, তা হলে কী টিকিট কেটে আসব? মেয়েটিও ঝটপট উত্তর দিল, যান কাউন্টারে বাবা বসে আছেন!
এক হকার পেপার বিক্রি করতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়ল। কেউই কিনছে না। সে পেপার খুলে দেখল, আজ বারাক ওবামার কোনো খবরই ছাপা হয়নি। সে সঙ্গে সঙ্গে চিত্কার করে পেপার বিক্রি শুরু করল, ওবামার কোনো খবর নাই, ওবামার কোনো খবর নাই।
সঙ্গে সঙ্গে তার সব পেপার বিক্রি হয়ে গেল।
নবদম্পতির বাচ্চা হয়েছে। ফুটফুটে নিখুঁত বাচ্চা। কিন্তু একটাই দোষ। বাচ্চা কোনো কথা বলে না। বারো বছর পর খাওয়ার টেবিলে বাচ্চা প্রথম কথা বলল, �আমাকে একটু চিনি দাও।�
মা-বাবা অবাক, কী ব্যাপার, তুমি এত দিন কোনো কথা বলোনি কেন?
ছেলে বলল, �এত দিন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। আজ চায়ে চিনি কম হয়েছে।�
ভিক্ষুক :- স্যার.. ২০টা টাকা দেন.. কফি খাবো।
লোক :- কেন ?? কফি তো ১০ টাকা কাপ..
ভিক্ষুক :- স্যার, সাথে গার্লফ্রেন্ড আছে তো, তাই..
লোক :- ভিক্ষুক হয়ে গার্লফ্রেন্ড ও বানিয়েছ..
ভিক্ষুক :- জ্বী না স্যার.. গার্লফ্রেন্ডই বরং আমাকে ভিক্ষুক বানিয়েছে ।।
ভিখারি : হুজুর, দয়া করে আমাকে একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক : নেই।
ভিখারি : তাহলে আটআনা পয়সাই দিন।
ভদ্রলোক : নেই।
ভিখারি : ঠিক আছে তাহলে চারআনাই দিন।
ভদ্রলোক : তাও নেই।
ভিখারি : তাহলে আমার পাশেই বসে পড়ূন।
ফকির - বাবা আমারে ১০টা টাকা দেন চা খাব।
ভদ্রলোক - চা খেতে তো ৫টাকা লাগে, তুমি ১০ টাকা চাচ্চ কেন?
ফকির - গার্ল ফ্রেন্ড-রে নিয়া খামু।
ভদ্রলোক - ফকির হইয়াও গার্ল ফ্রেন্ড বানাইয়া ফেলছ।
ফকির - না গার্ল ফ্রেন্ড-ই আমারে ফকির বানাইছে।
ইন্টারভিউ বোর্ডে এক যুবককে প্রশ্ন করা হলো, বল তো "ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল" এর ইংরেজি কি হবে?
যুবক: এটার ইংরেজি পারি না স্যার। আরবিটা পারি।
প্রশ্নকর্তা: আরবিটা পার? ঠিক আছে বল।
যুবক: ইন্নালিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন
এক মক্কেল দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে উকিলের কক্ষে ঢুকে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন�
মক্কেল: উকিল সাহেব, আমি একটু আগে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে তো সিনেমা দেখানোর বদলে জ্যান্ত মানুষ কাটা দেখাচ্ছে।
উকিল: তা আপনি সিনেমা দেখার জন্য কোন সিনেমা হলে গিয়েছিলেন, শুনি?
মক্কেল: কেন? সব থিয়েটারেই তো সিনেমা চলে। আমি যে থিয়েটারে গিয়েছিলাম, তার সামনে লেখা ছিল �অপারেশন থিয়েটার�।
নতুন এক মক্কেল বিখ্যাত এক উকিলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন�
মক্কেল: আচ্ছা, আপনার ফি কত?
উকিল: আমি প্রতি তিনটি প্রশ্নের উত্তরে ১৫ হাজার টাকা নিই।
মক্কেল: কেন, আপনি এত বেশি টাকা নেন কেন?
উকিল: এটাই তো আমার ন্যায্য পারিশ্রমিক। হাতে সময় কম। এবার আপনার তিন নম্বর প্রশ্নটি বলে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে জলদি কেটে পড়ুন!
আদালতে এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বৃদ্ধা নাকি ডাইনী। এ ধরনের অভিযোগ প্রায়ই আসে এবং জজ সাহেব তা খারিজ করে দেন। যথারীতি এ অভিযোগটিও তিনি খারিজ করে দিলেন। তবে তার যে কোন কারনে বৃদ্ধার ব্যাপারে কৌতুহল হল। উনি বৃদ্ধাকে অফিসে ডেকে পাঠালেন। বৃদ্ধা আসার পর জজ জিজ্ঞেস করলেন: আচ্ছা বলুনতো আপনাকে সবাই ডাইনী বলে কেন?
আমি লোকের সাথে বাজি ধরি। এবং আমার বাজি ভাগ্য এত ভাল যে লোক যা অসম্ভব বলে মনে করে তাও আমার ভাগ্যগুণে হয়ে যায়। যার দরুন আমি অনেক টাকা বাজিতে জিতি।
সত্যিই! কি রকম একটা উদাহরণ দিতে পারেন? বেশ এই ধরুন আমি বলছি আপনি কাল সকাল ১০ টার আগে স্ত্রীরূপ ধারণ করবেন। এজন্য আমি ১ লক্ষ টাকা বাজি ধরতে রাজি আছি। জজ সাহেব কিছুক্ষন স্থম্ভিত হয়ে রইলেন। উনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে কথাটা তিনি ঠিক শুনেছেন কি না? জজ বললেন এটা তো অসম্ভব এর উপর বাজি রাখছেন? আমি রাজি, বৃদ্ধা বললেন। আপনি রাজি? অবশ্যই রাজি কাল সকাল ১০টার সময় টাকা নিয়ে এখানে হাজির হবেন।
জজ সাহেব নিজেকে যতই সংস্কারমুক্ত ভাবেন না কেন পরের কয়েক ঘন্টা খুবই টেনশনে কাটালেন। কারনে অকারনে বার বার বাথরুমে গেলেন যদিও তিনি জানতেন এরকম কিছু ঘটতে পারে না। যাহোক জজ সাহেব কোন মতে সময়টা পার করে সকালে আদালতে হাজির হলেন।
বৃদ্ধাও ১০টার আগে পৌছে গেল সাথে দুইজন যুবক। এরা কারা ? বৃদ্ধা বললেন এতগুলো টাকা একা একা নিয়ে আসতে ভরসা হল না। জজ সাহেব একটা বিজয়ের হাসি হেসে বললেন এদের এখন ছেড়ে দিতে পারেন। কেন? কারন টাকাটা আমার কাছেই রেখে যেতে হবে। তা হতেই পারে না আমি বিশ্বাস করি না বৃদ্ধা উত্তেজিত হয়ে বললেন।
জজ বললেন এটাই সত্যি, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। আমি নিজের চোখে প্রমাণ দেখতে চাই, এতগুলো টাকার ব্যাপার। ঠিক আছে বলে জজ সাহেব প্রমাণ দেয়ার জন্য তার প্যান্ট খুললেন। সাথে সাথে দেখলেন বৃদ্ধার সঙ্গীরা দুম দুম করে দেয়ালে মাথা ঠুকছে।
ওকি ওরকম করছ কেন? জজ প্যান্ট পরতে পরতে হতভম্ব হয়ে বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলেন। কারণ উনারা এইমাত্র আমার কাছে ২ লাখ টাকার বাজি হারলেন। ওরা আপনার আদালতের নতুন উকিল। ওদের সাথে বাজি ধরেছিলাম আপনার অফিসে ওদের চোখের সামনে আপনার প্যান্ট খুলিয়ে ছাড়ব।
আদালতে এক উকিল ডাক্তারকে_
: আচ্ছা, পোস্টমর্টেমের আগে লোকটির কি নাড়ি টিপে দেখেছিলেন?
: না।
: লোকটার রক্তচাপ দেখেছিলেন?
: না।
: নিঃশ্বাস ঠিকমতো নিচ্ছিল
কি-না খেয়াল করেছিলেন?
: না।
: তাহলে এটা কি সম্ভব নয় যে, পোস্টমর্টেমের সময় লোকটা জীবিত ছিল?
: না।
: কী করে নিশ্চিত হলেন?
: কারণ লোকটার মাথার ঘিলু আমার সামনে একটা বোতলে ছিল।
: তা সত্ত্বেও তো লোকটা বেঁচে থাকতে পারে_ তাই না?
: [ডাক্তার একটু চুপ করে থেকে] এখন মনে হচ্ছে পারে। ও হয়তো বেঁচে থেকে কোথাও ওকালতি করছে!
উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন । তাহলে চার বছরের আর একটি দুই বছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ?
ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি?
No comments:
Post a Comment