Saturday, November 22, 2008
Tuesday, November 18, 2008
patwary
Thursday, November 13, 2008
patwary
আবদুল কাদির জিলানী পাটোয়ারী
গতকাল খুব সকালে আমি কুষ্টিয়া রওনা হই। ঢাকার সকাল। সাদামাটা একটা সকাল। ৯টার সময় আমার বাস ঢাকা থেকে ছাড়ল। যমুনা সেতু পর্যন্ত আমার পথ চেনা। আমার বাড়ি কুড়িগ্রাম, তাই এই পথ আমি অনেক ভালো চিনি। যমুনা পার হয়ে যখন রাজশাহী’র রাস্তায় চলা শুরু করলাম, পথ আর চিনি না। পথ হয়ে গেল অপার সৌন্দর্যের, বিস্ময়ের।
সত্যিকারের হাইওয়ে। বাইরে ঝলমলে রোদ। সামনে বিস্তৃর্ণ পথ। গাড়িতে শৈততা। গাড়ির উপরে আকাশ। আকাশের নীচে আমি আর আমার দু’দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়: চলনবিল। বর্ষায় চলনবিল কখনো দেখিনি। এবার দেখা হয়ে গেল। দিগন্তরেখা জুড়ে পানি আর পানি। আকাশে মেঘের বারাবাড়ি। মাথা খারাপ করার মতোন অবস্থা। যখন বিলের দাপট শেষ হয়ে গেল; চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত। আহা! সবুজের মধ্যে মেঘের কারসাজি করা রোদ। মনে হলো আমি যেন ক্ষত-বিক্ষত আর কোন জন নই। মনে হলো এই পৃথিবী সবচেয়ে সুখী মানুষটাই আমি। দু’চোখ ভরেই দেখলাম। দেখতে থাকলাম।
গাড়িটি যখন লালন সেতুর কাছে পৌছল, তখন অবস্থা হলো সবচেয়ে সুন্দর। হঠাৎ লক্ষ করলাম আকাশে মেঘের মিছিল। এতো সুন্দর মেঘমালা আমি কখনো দেখিনি। অনেকটা ডে আফটার টুমরো ছবিটার থার্মাল সার্কেলের মতোন। মেঘেরা যেন চারপাশ থেকে ছুটে এসে আমাকে বন্দী করার চেষ্টা করছে। মেঘমালার দিকে তাকিয়ে মনে হলো অনেদ আদীম কোন রোমান ভাষ্কর খুব যত্ন করে তৈরি করেছে এই থ্রিডি স্কাল্পচার। কোন কোন মেঘের উপরে রোদ আবার কোথাও ভারী মেঘের কিনারায় রোদের আলো চক চক করছে। একদম বলা যায় গোল্ডপ্লেটেড মেঘ। এই সৌন্দর্য সহ্য করার মতোন নয়। প্রিয় বন্ধু সাজুকে ফোন করলাম। বললাম। রোবটের মতোন সাজু শুনল।
আমি চিত্রকর হলে এই মেঘের মনে হয় ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি চিত্রকর্ম পারি না। ছবি তুলতে পারি। ছবিতোলার উপায় নেই, আমি ক্যামেরা ব্রান্ড পরিবর্তন করেছি। সমস্তু নাইকন ছেড়ে দিয়েছি। নতুন কেনন এখনো হাতে পাই নি। এই প্রথম ক্যামেরাকে খুব মিস করলাম। কারো কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। আমি কুষ্টিয়া শহরে পৌছলাম দুপুর দু’টায়।
হোটেলে ব্যাগ রেখেই আমি হাওয়া। অনেক খিদে পেয়েছে। খেয়ে এসেই ঘুম। ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার পরে। আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রিক্সা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে শুরু করলাম। একদম ভবঘুরেদের মতোন। কুষ্টিয়ার বাতাসে সমস্যা আছে। খুব বোহেমিয়ান, চনমনে বাতাস। একটু অন্যরকম। মন আনচান করার মতোন হাওয়া। আমি যে হোটেলটায় উঠলাম, এর নাম শাপলা। শহরের শাপলা মোরের কাছে।
আমার রিক্সাওয়ালার নাম সবুজ। সবুজ এসএসসি পাশ করার পর আর কিছুই করেন নাই। দুই বাচ্চা আর তাদের মা’কে খাওয়াতে রিক্সা চালাচ্ছেন। সবুজের সাথে রিক্সায় ঘুরতে ঘরতে অনেক তথ্যই জানা হয়ে গেল। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো এখানে ব্যাঙের ছাতার মতোন বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নাকি এই ব্যবসা। এটা খুবই হতাসার ব্যাপার। বিষয়টা আমার কাছে এক ধরনের হাইপ মনে হলো। আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে:-
এই শহরের মানুষেরা অলস। তা না হলে একি ধরনের ব্যবসা কেন কপি করবে? নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতো!
শহরের বাবা মা গুলোন এক ধরনের মানষিক চাপে আছেন। নইলে কেন ছোট্ট বাচ্চাদের কোচিং এ পাঠাতেই হবে! অবশ্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একটা কারন হতে পারে। জীবন যুদ্ধে জয়ী বানানোর ট্রেনিং।
শহরের মানুষগুলোন অনেক বেশী ভদ্র। আমি শহরে ঘুরেছি রাত ১১:৩০ পর্যন্ত। এইটুকু সময়ের মধ্যে কেউ’ই আগ বাড়িয়ে কথা বলতে আসে নাই। প্রাইভেসি দিয়েছে।
আজকে আমি এখন পর্যন্ত হোটেলে। এখন বাজে দুপুর ১টা। রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে অনেক দিন পরে। ভাবছি বেশ কিছুদিন এখানে থেকে যাব।
আজ শনিবার। দুপুরের খাবারের পর আবারো শহর দেখতে রিক্সায়। আজকে গেলাম লালন শাহ্’র মাজারে। সারি সারি কবর। সবগুলো কবরের কাছে গেলাম। নাম পড়লাম সবার। সবশেষে ঢুকলাম তাঁর কবরের ঘরে। জায়গাটার মধ্যে কিছু একটা আছে। বিষয়টা খুব বেশী পরাজাগতিক। আমার পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আমি প্রায় আধা ঘন্টা কবরের ঘরটায় চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। ভেতর থেকে বাউলদের গান কানে আসল। অডিটরিয়ামের নীচে গান হচ্ছিল। আমি অনেকটা সময় নিয়ে গান শুনলাম। পুরা কম্পাউন্ডটা হেটে দেখলাম। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলে ফিরে আসলাম। এখন রাত ন’টা।
সত্যিকারের হাইওয়ে। বাইরে ঝলমলে রোদ। সামনে বিস্তৃর্ণ পথ। গাড়িতে শৈততা। গাড়ির উপরে আকাশ। আকাশের নীচে আমি আর আমার দু’দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়: চলনবিল। বর্ষায় চলনবিল কখনো দেখিনি। এবার দেখা হয়ে গেল। দিগন্তরেখা জুড়ে পানি আর পানি। আকাশে মেঘের বারাবাড়ি। মাথা খারাপ করার মতোন অবস্থা। যখন বিলের দাপট শেষ হয়ে গেল; চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত। আহা! সবুজের মধ্যে মেঘের কারসাজি করা রোদ। মনে হলো আমি যেন ক্ষত-বিক্ষত আর কোন জন নই। মনে হলো এই পৃথিবী সবচেয়ে সুখী মানুষটাই আমি। দু’চোখ ভরেই দেখলাম। দেখতে থাকলাম।
গাড়িটি যখন লালন সেতুর কাছে পৌছল, তখন অবস্থা হলো সবচেয়ে সুন্দর। হঠাৎ লক্ষ করলাম আকাশে মেঘের মিছিল। এতো সুন্দর মেঘমালা আমি কখনো দেখিনি। অনেকটা ডে আফটার টুমরো ছবিটার থার্মাল সার্কেলের মতোন। মেঘেরা যেন চারপাশ থেকে ছুটে এসে আমাকে বন্দী করার চেষ্টা করছে। মেঘমালার দিকে তাকিয়ে মনে হলো অনেদ আদীম কোন রোমান ভাষ্কর খুব যত্ন করে তৈরি করেছে এই থ্রিডি স্কাল্পচার। কোন কোন মেঘের উপরে রোদ আবার কোথাও ভারী মেঘের কিনারায় রোদের আলো চক চক করছে। একদম বলা যায় গোল্ডপ্লেটেড মেঘ। এই সৌন্দর্য সহ্য করার মতোন নয়। প্রিয় বন্ধু সাজুকে ফোন করলাম। বললাম। রোবটের মতোন সাজু শুনল।
আমি চিত্রকর হলে এই মেঘের মনে হয় ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি চিত্রকর্ম পারি না। ছবি তুলতে পারি। ছবিতোলার উপায় নেই, আমি ক্যামেরা ব্রান্ড পরিবর্তন করেছি। সমস্তু নাইকন ছেড়ে দিয়েছি। নতুন কেনন এখনো হাতে পাই নি। এই প্রথম ক্যামেরাকে খুব মিস করলাম। কারো কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। আমি কুষ্টিয়া শহরে পৌছলাম দুপুর দু’টায়।
হোটেলে ব্যাগ রেখেই আমি হাওয়া। অনেক খিদে পেয়েছে। খেয়ে এসেই ঘুম। ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার পরে। আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রিক্সা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে শুরু করলাম। একদম ভবঘুরেদের মতোন। কুষ্টিয়ার বাতাসে সমস্যা আছে। খুব বোহেমিয়ান, চনমনে বাতাস। একটু অন্যরকম। মন আনচান করার মতোন হাওয়া। আমি যে হোটেলটায় উঠলাম, এর নাম শাপলা। শহরের শাপলা মোরের কাছে।
আমার রিক্সাওয়ালার নাম সবুজ। সবুজ এসএসসি পাশ করার পর আর কিছুই করেন নাই। দুই বাচ্চা আর তাদের মা’কে খাওয়াতে রিক্সা চালাচ্ছেন। সবুজের সাথে রিক্সায় ঘুরতে ঘরতে অনেক তথ্যই জানা হয়ে গেল। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো এখানে ব্যাঙের ছাতার মতোন বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নাকি এই ব্যবসা। এটা খুবই হতাসার ব্যাপার। বিষয়টা আমার কাছে এক ধরনের হাইপ মনে হলো। আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে:-
এই শহরের মানুষেরা অলস। তা না হলে একি ধরনের ব্যবসা কেন কপি করবে? নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতো!
শহরের বাবা মা গুলোন এক ধরনের মানষিক চাপে আছেন। নইলে কেন ছোট্ট বাচ্চাদের কোচিং এ পাঠাতেই হবে! অবশ্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একটা কারন হতে পারে। জীবন যুদ্ধে জয়ী বানানোর ট্রেনিং।
শহরের মানুষগুলোন অনেক বেশী ভদ্র। আমি শহরে ঘুরেছি রাত ১১:৩০ পর্যন্ত। এইটুকু সময়ের মধ্যে কেউ’ই আগ বাড়িয়ে কথা বলতে আসে নাই। প্রাইভেসি দিয়েছে।
আজকে আমি এখন পর্যন্ত হোটেলে। এখন বাজে দুপুর ১টা। রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে অনেক দিন পরে। ভাবছি বেশ কিছুদিন এখানে থেকে যাব।
আজ শনিবার। দুপুরের খাবারের পর আবারো শহর দেখতে রিক্সায়। আজকে গেলাম লালন শাহ্’র মাজারে। সারি সারি কবর। সবগুলো কবরের কাছে গেলাম। নাম পড়লাম সবার। সবশেষে ঢুকলাম তাঁর কবরের ঘরে। জায়গাটার মধ্যে কিছু একটা আছে। বিষয়টা খুব বেশী পরাজাগতিক। আমার পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আমি প্রায় আধা ঘন্টা কবরের ঘরটায় চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। ভেতর থেকে বাউলদের গান কানে আসল। অডিটরিয়ামের নীচে গান হচ্ছিল। আমি অনেকটা সময় নিয়ে গান শুনলাম। পুরা কম্পাউন্ডটা হেটে দেখলাম। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলে ফিরে আসলাম। এখন রাত ন’টা।
গতকাল খুব সকালে আমি কুষ্টিয়া রওনা হই। ঢাকার সকাল। সাদামাটা একটা সকাল। ৯টার সময় আমার বাস ঢাকা থেকে ছাড়ল। যমুনা সেতু পর্যন্ত আমার পথ চেনা। আমার বাড়ি কুড়িগ্রাম, তাই এই পথ আমি অনেক ভালো চিনি। যমুনা পার হয়ে যখন রাজশাহী’র রাস্তায় চলা শুরু করলাম, পথ আর চিনি না। পথ হয়ে গেল অপার সৌন্দর্যের, বিস্ময়ের।
সত্যিকারের হাইওয়ে। বাইরে ঝলমলে রোদ। সামনে বিস্তৃর্ণ পথ। গাড়িতে শৈততা। গাড়ির উপরে আকাশ। আকাশের নীচে আমি আর আমার দু’দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়: চলনবিল। বর্ষায় চলনবিল কখনো দেখিনি। এবার দেখা হয়ে গেল। দিগন্তরেখা জুড়ে পানি আর পানি। আকাশে মেঘের বারাবাড়ি। মাথা খারাপ করার মতোন অবস্থা। যখন বিলের দাপট শেষ হয়ে গেল; চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত। আহা! সবুজের মধ্যে মেঘের কারসাজি করা রোদ। মনে হলো আমি যেন ক্ষত-বিক্ষত আর কোন জন নই। মনে হলো এই পৃথিবী সবচেয়ে সুখী মানুষটাই আমি। দু’চোখ ভরেই দেখলাম। দেখতে থাকলাম।
গাড়িটি যখন লালন সেতুর কাছে পৌছল, তখন অবস্থা হলো সবচেয়ে সুন্দর। হঠাৎ লক্ষ করলাম আকাশে মেঘের মিছিল। এতো সুন্দর মেঘমালা আমি কখনো দেখিনি। অনেকটা ডে আফটার টুমরো ছবিটার থার্মাল সার্কেলের মতোন। মেঘেরা যেন চারপাশ থেকে ছুটে এসে আমাকে বন্দী করার চেষ্টা করছে। মেঘমালার দিকে তাকিয়ে মনে হলো অনেদ আদীম কোন রোমান ভাষ্কর খুব যত্ন করে তৈরি করেছে এই থ্রিডি স্কাল্পচার। কোন কোন মেঘের উপরে রোদ আবার কোথাও ভারী মেঘের কিনারায় রোদের আলো চক চক করছে। একদম বলা যায় গোল্ডপ্লেটেড মেঘ। এই সৌন্দর্য সহ্য করার মতোন নয়। প্রিয় বন্ধু সাজুকে ফোন করলাম। বললাম। রোবটের মতোন সাজু শুনল।
আমি চিত্রকর হলে এই মেঘের মনে হয় ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি চিত্রকর্ম পারি না। ছবি তুলতে পারি। ছবিতোলার উপায় নেই, আমি ক্যামেরা ব্রান্ড পরিবর্তন করেছি। সমস্তু নাইকন ছেড়ে দিয়েছি। নতুন কেনন এখনো হাতে পাই নি। এই প্রথম ক্যামেরাকে খুব মিস করলাম। কারো কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। আমি কুষ্টিয়া শহরে পৌছলাম দুপুর দু’টায়।
হোটেলে ব্যাগ রেখেই আমি হাওয়া। অনেক খিদে পেয়েছে। খেয়ে এসেই ঘুম। ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার পরে। আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রিক্সা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে শুরু করলাম। একদম ভবঘুরেদের মতোন। কুষ্টিয়ার বাতাসে সমস্যা আছে। খুব বোহেমিয়ান, চনমনে বাতাস। একটু অন্যরকম। মন আনচান করার মতোন হাওয়া। আমি যে হোটেলটায় উঠলাম, এর নাম শাপলা। শহরের শাপলা মোরের কাছে।
আমার রিক্সাওয়ালার নাম সবুজ। সবুজ এসএসসি পাশ করার পর আর কিছুই করেন নাই। দুই বাচ্চা আর তাদের মা’কে খাওয়াতে রিক্সা চালাচ্ছেন। সবুজের সাথে রিক্সায় ঘুরতে ঘরতে অনেক তথ্যই জানা হয়ে গেল। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো এখানে ব্যাঙের ছাতার মতোন বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নাকি এই ব্যবসা। এটা খুবই হতাসার ব্যাপার। বিষয়টা আমার কাছে এক ধরনের হাইপ মনে হলো। আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে:-
এই শহরের মানুষেরা অলস। তা না হলে একি ধরনের ব্যবসা কেন কপি করবে? নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতো!
শহরের বাবা মা গুলোন এক ধরনের মানষিক চাপে আছেন। নইলে কেন ছোট্ট বাচ্চাদের কোচিং এ পাঠাতেই হবে! অবশ্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একটা কারন হতে পারে। জীবন যুদ্ধে জয়ী বানানোর ট্রেনিং।
শহরের মানুষগুলোন অনেক বেশী ভদ্র। আমি শহরে ঘুরেছি রাত ১১:৩০ পর্যন্ত। এইটুকু সময়ের মধ্যে কেউ’ই আগ বাড়িয়ে কথা বলতে আসে নাই। প্রাইভেসি দিয়েছে।
আজকে আমি এখন পর্যন্ত হোটেলে। এখন বাজে দুপুর ১টা। রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে অনেক দিন পরে। ভাবছি বেশ কিছুদিন এখানে থেকে যাব।
আজ শনিবার। দুপুরের খাবারের পর আবারো শহর দেখতে রিক্সায়। আজকে গেলাম লালন শাহ্’র মাজারে। সারি সারি কবর। সবগুলো কবরের কাছে গেলাম। নাম পড়লাম সবার। সবশেষে ঢুকলাম তাঁর কবরের ঘরে। জায়গাটার মধ্যে কিছু একটা আছে। বিষয়টা খুব বেশী পরাজাগতিক। আমার পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আমি প্রায় আধা ঘন্টা কবরের ঘরটায় চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। ভেতর থেকে বাউলদের গান কানে আসল। অডিটরিয়ামের নীচে গান হচ্ছিল। আমি অনেকটা সময় নিয়ে গান শুনলাম। পুরা কম্পাউন্ডটা হেটে দেখলাম। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলে ফিরে আসলাম। এখন রাত ন’টা।
সত্যিকারের হাইওয়ে। বাইরে ঝলমলে রোদ। সামনে বিস্তৃর্ণ পথ। গাড়িতে শৈততা। গাড়ির উপরে আকাশ। আকাশের নীচে আমি আর আমার দু’দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়: চলনবিল। বর্ষায় চলনবিল কখনো দেখিনি। এবার দেখা হয়ে গেল। দিগন্তরেখা জুড়ে পানি আর পানি। আকাশে মেঘের বারাবাড়ি। মাথা খারাপ করার মতোন অবস্থা। যখন বিলের দাপট শেষ হয়ে গেল; চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত। আহা! সবুজের মধ্যে মেঘের কারসাজি করা রোদ। মনে হলো আমি যেন ক্ষত-বিক্ষত আর কোন জন নই। মনে হলো এই পৃথিবী সবচেয়ে সুখী মানুষটাই আমি। দু’চোখ ভরেই দেখলাম। দেখতে থাকলাম।
গাড়িটি যখন লালন সেতুর কাছে পৌছল, তখন অবস্থা হলো সবচেয়ে সুন্দর। হঠাৎ লক্ষ করলাম আকাশে মেঘের মিছিল। এতো সুন্দর মেঘমালা আমি কখনো দেখিনি। অনেকটা ডে আফটার টুমরো ছবিটার থার্মাল সার্কেলের মতোন। মেঘেরা যেন চারপাশ থেকে ছুটে এসে আমাকে বন্দী করার চেষ্টা করছে। মেঘমালার দিকে তাকিয়ে মনে হলো অনেদ আদীম কোন রোমান ভাষ্কর খুব যত্ন করে তৈরি করেছে এই থ্রিডি স্কাল্পচার। কোন কোন মেঘের উপরে রোদ আবার কোথাও ভারী মেঘের কিনারায় রোদের আলো চক চক করছে। একদম বলা যায় গোল্ডপ্লেটেড মেঘ। এই সৌন্দর্য সহ্য করার মতোন নয়। প্রিয় বন্ধু সাজুকে ফোন করলাম। বললাম। রোবটের মতোন সাজু শুনল।
আমি চিত্রকর হলে এই মেঘের মনে হয় ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি চিত্রকর্ম পারি না। ছবি তুলতে পারি। ছবিতোলার উপায় নেই, আমি ক্যামেরা ব্রান্ড পরিবর্তন করেছি। সমস্তু নাইকন ছেড়ে দিয়েছি। নতুন কেনন এখনো হাতে পাই নি। এই প্রথম ক্যামেরাকে খুব মিস করলাম। কারো কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। আমি কুষ্টিয়া শহরে পৌছলাম দুপুর দু’টায়।
হোটেলে ব্যাগ রেখেই আমি হাওয়া। অনেক খিদে পেয়েছে। খেয়ে এসেই ঘুম। ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার পরে। আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রিক্সা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে শুরু করলাম। একদম ভবঘুরেদের মতোন। কুষ্টিয়ার বাতাসে সমস্যা আছে। খুব বোহেমিয়ান, চনমনে বাতাস। একটু অন্যরকম। মন আনচান করার মতোন হাওয়া। আমি যে হোটেলটায় উঠলাম, এর নাম শাপলা। শহরের শাপলা মোরের কাছে।
আমার রিক্সাওয়ালার নাম সবুজ। সবুজ এসএসসি পাশ করার পর আর কিছুই করেন নাই। দুই বাচ্চা আর তাদের মা’কে খাওয়াতে রিক্সা চালাচ্ছেন। সবুজের সাথে রিক্সায় ঘুরতে ঘরতে অনেক তথ্যই জানা হয়ে গেল। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো এখানে ব্যাঙের ছাতার মতোন বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নাকি এই ব্যবসা। এটা খুবই হতাসার ব্যাপার। বিষয়টা আমার কাছে এক ধরনের হাইপ মনে হলো। আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে:-
এই শহরের মানুষেরা অলস। তা না হলে একি ধরনের ব্যবসা কেন কপি করবে? নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতো!
শহরের বাবা মা গুলোন এক ধরনের মানষিক চাপে আছেন। নইলে কেন ছোট্ট বাচ্চাদের কোচিং এ পাঠাতেই হবে! অবশ্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একটা কারন হতে পারে। জীবন যুদ্ধে জয়ী বানানোর ট্রেনিং।
শহরের মানুষগুলোন অনেক বেশী ভদ্র। আমি শহরে ঘুরেছি রাত ১১:৩০ পর্যন্ত। এইটুকু সময়ের মধ্যে কেউ’ই আগ বাড়িয়ে কথা বলতে আসে নাই। প্রাইভেসি দিয়েছে।
আজকে আমি এখন পর্যন্ত হোটেলে। এখন বাজে দুপুর ১টা। রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে অনেক দিন পরে। ভাবছি বেশ কিছুদিন এখানে থেকে যাব।
আজ শনিবার। দুপুরের খাবারের পর আবারো শহর দেখতে রিক্সায়। আজকে গেলাম লালন শাহ্’র মাজারে। সারি সারি কবর। সবগুলো কবরের কাছে গেলাম। নাম পড়লাম সবার। সবশেষে ঢুকলাম তাঁর কবরের ঘরে। জায়গাটার মধ্যে কিছু একটা আছে। বিষয়টা খুব বেশী পরাজাগতিক। আমার পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আমি প্রায় আধা ঘন্টা কবরের ঘরটায় চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। ভেতর থেকে বাউলদের গান কানে আসল। অডিটরিয়ামের নীচে গান হচ্ছিল। আমি অনেকটা সময় নিয়ে গান শুনলাম। পুরা কম্পাউন্ডটা হেটে দেখলাম। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলে ফিরে আসলাম। এখন রাত ন’টা।
গতকাল খুব সকালে আমি কুষ্টিয়া রওনা হই। ঢাকার সকাল। সাদামাটা একটা সকাল। ৯টার সময় আমার বাস ঢাকা থেকে ছাড়ল। যমুনা সেতু পর্যন্ত আমার পথ চেনা। আমার বাড়ি কুড়িগ্রাম, তাই এই পথ আমি অনেক ভালো চিনি। যমুনা পার হয়ে যখন রাজশাহী’র রাস্তায় চলা শুরু করলাম, পথ আর চিনি না। পথ হয়ে গেল অপার সৌন্দর্যের, বিস্ময়ের।
সত্যিকারের হাইওয়ে। বাইরে ঝলমলে রোদ। সামনে বিস্তৃর্ণ পথ। গাড়িতে শৈততা। গাড়ির উপরে আকাশ। আকাশের নীচে আমি আর আমার দু’দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়: চলনবিল। বর্ষায় চলনবিল কখনো দেখিনি। এবার দেখা হয়ে গেল। দিগন্তরেখা জুড়ে পানি আর পানি। আকাশে মেঘের বারাবাড়ি। মাথা খারাপ করার মতোন অবস্থা। যখন বিলের দাপট শেষ হয়ে গেল; চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত। আহা! সবুজের মধ্যে মেঘের কারসাজি করা রোদ। মনে হলো আমি যেন ক্ষত-বিক্ষত আর কোন জন নই। মনে হলো এই পৃথিবী সবচেয়ে সুখী মানুষটাই আমি। দু’চোখ ভরেই দেখলাম। দেখতে থাকলাম।
গাড়িটি যখন লালন সেতুর কাছে পৌছল, তখন অবস্থা হলো সবচেয়ে সুন্দর। হঠাৎ লক্ষ করলাম আকাশে মেঘের মিছিল। এতো সুন্দর মেঘমালা আমি কখনো দেখিনি। অনেকটা ডে আফটার টুমরো ছবিটার থার্মাল সার্কেলের মতোন। মেঘেরা যেন চারপাশ থেকে ছুটে এসে আমাকে বন্দী করার চেষ্টা করছে। মেঘমালার দিকে তাকিয়ে মনে হলো অনেদ আদীম কোন রোমান ভাষ্কর খুব যত্ন করে তৈরি করেছে এই থ্রিডি স্কাল্পচার। কোন কোন মেঘের উপরে রোদ আবার কোথাও ভারী মেঘের কিনারায় রোদের আলো চক চক করছে। একদম বলা যায় গোল্ডপ্লেটেড মেঘ। এই সৌন্দর্য সহ্য করার মতোন নয়। প্রিয় বন্ধু সাজুকে ফোন করলাম। বললাম। রোবটের মতোন সাজু শুনল।
আমি চিত্রকর হলে এই মেঘের মনে হয় ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি চিত্রকর্ম পারি না। ছবি তুলতে পারি। ছবিতোলার উপায় নেই, আমি ক্যামেরা ব্রান্ড পরিবর্তন করেছি। সমস্তু নাইকন ছেড়ে দিয়েছি। নতুন কেনন এখনো হাতে পাই নি। এই প্রথম ক্যামেরাকে খুব মিস করলাম। কারো কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। আমি কুষ্টিয়া শহরে পৌছলাম দুপুর দু’টায়।
হোটেলে ব্যাগ রেখেই আমি হাওয়া। অনেক খিদে পেয়েছে। খেয়ে এসেই ঘুম। ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার পরে। আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রিক্সা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে শুরু করলাম। একদম ভবঘুরেদের মতোন। কুষ্টিয়ার বাতাসে সমস্যা আছে। খুব বোহেমিয়ান, চনমনে বাতাস। একটু অন্যরকম। মন আনচান করার মতোন হাওয়া। আমি যে হোটেলটায় উঠলাম, এর নাম শাপলা। শহরের শাপলা মোরের কাছে।
আমার রিক্সাওয়ালার নাম সবুজ। সবুজ এসএসসি পাশ করার পর আর কিছুই করেন নাই। দুই বাচ্চা আর তাদের মা’কে খাওয়াতে রিক্সা চালাচ্ছেন। সবুজের সাথে রিক্সায় ঘুরতে ঘরতে অনেক তথ্যই জানা হয়ে গেল। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো এখানে ব্যাঙের ছাতার মতোন বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নাকি এই ব্যবসা। এটা খুবই হতাসার ব্যাপার। বিষয়টা আমার কাছে এক ধরনের হাইপ মনে হলো। আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে:-
এই শহরের মানুষেরা অলস। তা না হলে একি ধরনের ব্যবসা কেন কপি করবে? নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতো!
শহরের বাবা মা গুলোন এক ধরনের মানষিক চাপে আছেন। নইলে কেন ছোট্ট বাচ্চাদের কোচিং এ পাঠাতেই হবে! অবশ্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একটা কারন হতে পারে। জীবন যুদ্ধে জয়ী বানানোর ট্রেনিং।
শহরের মানুষগুলোন অনেক বেশী ভদ্র। আমি শহরে ঘুরেছি রাত ১১:৩০ পর্যন্ত। এইটুকু সময়ের মধ্যে কেউ’ই আগ বাড়িয়ে কথা বলতে আসে নাই। প্রাইভেসি দিয়েছে।
আজকে আমি এখন পর্যন্ত হোটেলে। এখন বাজে দুপুর ১টা। রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে অনেক দিন পরে। ভাবছি বেশ কিছুদিন এখানে থেকে যাব।
আজ শনিবার। দুপুরের খাবারের পর আবারো শহর দেখতে রিক্সায়। আজকে গেলাম লালন শাহ্’র মাজারে। সারি সারি কবর। সবগুলো কবরের কাছে গেলাম। নাম পড়লাম সবার। সবশেষে ঢুকলাম তাঁর কবরের ঘরে। জায়গাটার মধ্যে কিছু একটা আছে। বিষয়টা খুব বেশী পরাজাগতিক। আমার পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আমি প্রায় আধা ঘন্টা কবরের ঘরটায় চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। ভেতর থেকে বাউলদের গান কানে আসল। অডিটরিয়ামের নীচে গান হচ্ছিল। আমি অনেকটা সময় নিয়ে গান শুনলাম। পুরা কম্পাউন্ডটা হেটে দেখলাম। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলে ফিরে আসলাম। এখন রাত ন’টা।
সত্যিকারের হাইওয়ে। বাইরে ঝলমলে রোদ। সামনে বিস্তৃর্ণ পথ। গাড়িতে শৈততা। গাড়ির উপরে আকাশ। আকাশের নীচে আমি আর আমার দু’দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়: চলনবিল। বর্ষায় চলনবিল কখনো দেখিনি। এবার দেখা হয়ে গেল। দিগন্তরেখা জুড়ে পানি আর পানি। আকাশে মেঘের বারাবাড়ি। মাথা খারাপ করার মতোন অবস্থা। যখন বিলের দাপট শেষ হয়ে গেল; চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত। আহা! সবুজের মধ্যে মেঘের কারসাজি করা রোদ। মনে হলো আমি যেন ক্ষত-বিক্ষত আর কোন জন নই। মনে হলো এই পৃথিবী সবচেয়ে সুখী মানুষটাই আমি। দু’চোখ ভরেই দেখলাম। দেখতে থাকলাম।
গাড়িটি যখন লালন সেতুর কাছে পৌছল, তখন অবস্থা হলো সবচেয়ে সুন্দর। হঠাৎ লক্ষ করলাম আকাশে মেঘের মিছিল। এতো সুন্দর মেঘমালা আমি কখনো দেখিনি। অনেকটা ডে আফটার টুমরো ছবিটার থার্মাল সার্কেলের মতোন। মেঘেরা যেন চারপাশ থেকে ছুটে এসে আমাকে বন্দী করার চেষ্টা করছে। মেঘমালার দিকে তাকিয়ে মনে হলো অনেদ আদীম কোন রোমান ভাষ্কর খুব যত্ন করে তৈরি করেছে এই থ্রিডি স্কাল্পচার। কোন কোন মেঘের উপরে রোদ আবার কোথাও ভারী মেঘের কিনারায় রোদের আলো চক চক করছে। একদম বলা যায় গোল্ডপ্লেটেড মেঘ। এই সৌন্দর্য সহ্য করার মতোন নয়। প্রিয় বন্ধু সাজুকে ফোন করলাম। বললাম। রোবটের মতোন সাজু শুনল।
আমি চিত্রকর হলে এই মেঘের মনে হয় ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি চিত্রকর্ম পারি না। ছবি তুলতে পারি। ছবিতোলার উপায় নেই, আমি ক্যামেরা ব্রান্ড পরিবর্তন করেছি। সমস্তু নাইকন ছেড়ে দিয়েছি। নতুন কেনন এখনো হাতে পাই নি। এই প্রথম ক্যামেরাকে খুব মিস করলাম। কারো কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। আমি কুষ্টিয়া শহরে পৌছলাম দুপুর দু’টায়।
হোটেলে ব্যাগ রেখেই আমি হাওয়া। অনেক খিদে পেয়েছে। খেয়ে এসেই ঘুম। ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার পরে। আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রিক্সা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে শুরু করলাম। একদম ভবঘুরেদের মতোন। কুষ্টিয়ার বাতাসে সমস্যা আছে। খুব বোহেমিয়ান, চনমনে বাতাস। একটু অন্যরকম। মন আনচান করার মতোন হাওয়া। আমি যে হোটেলটায় উঠলাম, এর নাম শাপলা। শহরের শাপলা মোরের কাছে।
আমার রিক্সাওয়ালার নাম সবুজ। সবুজ এসএসসি পাশ করার পর আর কিছুই করেন নাই। দুই বাচ্চা আর তাদের মা’কে খাওয়াতে রিক্সা চালাচ্ছেন। সবুজের সাথে রিক্সায় ঘুরতে ঘরতে অনেক তথ্যই জানা হয়ে গেল। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো এখানে ব্যাঙের ছাতার মতোন বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নাকি এই ব্যবসা। এটা খুবই হতাসার ব্যাপার। বিষয়টা আমার কাছে এক ধরনের হাইপ মনে হলো। আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে:-
এই শহরের মানুষেরা অলস। তা না হলে একি ধরনের ব্যবসা কেন কপি করবে? নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতো!
শহরের বাবা মা গুলোন এক ধরনের মানষিক চাপে আছেন। নইলে কেন ছোট্ট বাচ্চাদের কোচিং এ পাঠাতেই হবে! অবশ্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একটা কারন হতে পারে। জীবন যুদ্ধে জয়ী বানানোর ট্রেনিং।
শহরের মানুষগুলোন অনেক বেশী ভদ্র। আমি শহরে ঘুরেছি রাত ১১:৩০ পর্যন্ত। এইটুকু সময়ের মধ্যে কেউ’ই আগ বাড়িয়ে কথা বলতে আসে নাই। প্রাইভেসি দিয়েছে।
আজকে আমি এখন পর্যন্ত হোটেলে। এখন বাজে দুপুর ১টা। রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে অনেক দিন পরে। ভাবছি বেশ কিছুদিন এখানে থেকে যাব।
আজ শনিবার। দুপুরের খাবারের পর আবারো শহর দেখতে রিক্সায়। আজকে গেলাম লালন শাহ্’র মাজারে। সারি সারি কবর। সবগুলো কবরের কাছে গেলাম। নাম পড়লাম সবার। সবশেষে ঢুকলাম তাঁর কবরের ঘরে। জায়গাটার মধ্যে কিছু একটা আছে। বিষয়টা খুব বেশী পরাজাগতিক। আমার পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আমি প্রায় আধা ঘন্টা কবরের ঘরটায় চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। ভেতর থেকে বাউলদের গান কানে আসল। অডিটরিয়ামের নীচে গান হচ্ছিল। আমি অনেকটা সময় নিয়ে গান শুনলাম। পুরা কম্পাউন্ডটা হেটে দেখলাম। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলে ফিরে আসলাম। এখন রাত ন’টা।
বাকী অংশ দেখবেন ................................
.......................... Next Page.
Thanks
Patwary
আবদুল কাদির জিলানী পাটোয়ারী
.......................... Next Page.
Thanks
Patwary
আবদুল কাদির জিলানী পাটোয়ারী
Wednesday, November 12, 2008
patwary
patwary
All of My Family Name:-
My Name is Abdul Kadir Gilani Patwary.
My Father Name - Alam Patwary.
My Mother Name : Noor Nahar Patwary.
My Younger brother Name - Sakib Patwary.
My Elder Sister Name - Shalena Patwary.
My Younger sister Name - Shema Patwary.
My Home Address:-
Abdul kadir gilani patwary
vill. Aliara
P.O. Aliara RajBari
P.S. Kachua
Dist. Chandpur
Bangladesh
Subscribe to:
Posts (Atom)